নিষিদ্ধ পল্লী গমনে প্রথমত বেশ অনীহা সত্ত্বেও মাস্টার্সের শেষ বর্ষে থিসিসের অংশ হিসেবে গিয়ে প্রথম দিনেই পরিচয় হয় সোহানা নামের এক মেয়ের সাথে। নিষিদ্ধ পল্লীর চিরাচরিত সাময়িক বিনোদন ছাড়াই সোহানার প্রতি অজানা আকর্ষণ এবং একইসাথে কৌতূহল অনুভব হতে থাকে শাহনেওয়াজের জীবনে। এদিকে থিসিস জমা দেয়ার সময় দ্রুতই শেষ হতে থাকে। সোহানার প্রতি অজানা এই আকর্ষণের কারণ কী হতে পারে তা নিয়ে শাহনেওয়াজ নিজেও স্থির হতে পারে না, তাইতো সোহানাকে বাস্তব ম্যাজিশিয়ান মনে হতে থাকে শাহনেওয়াজের কাছে। সোহানার জীবনের অজানা কাহিনি উদ্ধারে কৌতূহলী শাহনেওয়াজ-কে মেধাবী ও বুদ্ধিমতি সোহানা বারবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেও আবেগের আধিক্যের কারণে নিজের জীবনের নির্মম করুন বাস্তবতা শাহনেওয়াজ-কে বলতে গিয়েও বলা আর শেষ করতে পারে না। অবশেষে তাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সোহানা লিখতে শুরু করে তার জীবনে ঘটে যাওয়া নির্মম করুন কাহিনি। দীর্ঘ সাত বছর কঠিন সব বিধিনিষেধ মেনে প্রেমের সফল সমাপ্তি শেষে শৈবালের সাথে ফুলশয্যার রাত পার করে তাঁরা বের হয় স্বপ্নের মধুচন্দ্রিমায়। বান্দরবানের নীলগিরিতে গিয়ে কোলাহল এড়াতে আবেগে ছুটে চলতে থাকে বনের গহীন থেকে গহীনে। আর বনের এই গহীনেই তাঁদের সামনে উপস্থিত হয় যমদূতের মত নির্মম করল বাস্তবতা। অপহরণের টাকা দিতে না পারায় বিধবা হয়ে সোহানার ঠাঁই হয় নিষিদ্ধ পল্লীর অচীন পরিবেশে এবং গাঁয়ে লেগে যায় বেশ্যা নামক...